প্রকাশিত: Sat, Dec 23, 2023 10:46 PM
আপডেট: Sat, Jun 28, 2025 12:29 AM

[১]ব্যাংকিং খাতে ১৫ বছরে ৯২ হাজার কোটি টাকা লোপাট: সিপিডি

সালেহ্ বিপ্লব: [২] সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে ঋণ এবং অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে টাকা লোপাট করা হয়েছে। 

[৩] তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকে কেলেঙ্কারি বা অনিয়ম হয় সেগুলো অফিসিয়াল সূত্রে পাওয়া যায় না। সেগুলো সংবাদমাধ্যমে আসে। গণমাধ্যমকর্মীরা সেগুলো হয়তো অফিসিয়াল সূত্রেই আনেন। এগুলোকে কম্পাইল করে ২০০৮-২০২৩ সাল পর্যন্ত গণমাধ্যমে ২৪টি ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। এসব ঘটনায় ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে।

[৪] শনিবার সকালে ধানমন্ডিতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৩-২৪: চলমান সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ও গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম উপস্থিত ছিলেন।

[৫] ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, এই যে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হলো, বিশাল এই অর্থ দিয়ে কী হতে পারে, সেটি আপনারা হিসাব করতে পারেন। আপনারা হিসাব করতে পারেন আমাদের রাজস্ব ঘাটতি কত? সামাজিক নিরাপত্তা খাতে কত ব্যয় হচ্ছে, শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতে কত ব্যয় করছি। এ পরিমাণ দিয়ে আমরা কী করতে পারতাম।

[৬] তিনি বলেন, এই পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ হচ্ছে, অপচয় হচ্ছে; ব্যাংকে যে টাকা সেটি জনগণের টাকা, সেটি কীভাবে ব্যয় হচ্ছে তা চিন্তার বিষয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকিং খাতে নিয়মকানুন বাস্তবায়ন করা ও সংস্কার করা জরুরি।

[৭] তবে সংস্কার পদক্ষেপের মাধ্যমে অর্থনীতিতে ?সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সহজ কাজ হবে না বলেও মনে করেন তিনি। তার ভাষায়, কায়েমী স্বার্থগোষ্ঠী শক্তিশালী এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে। 

[৮] উপস্থাপিত প্রতিবেদনে সিপিডি বলেছে, অর্থনীতি অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যা কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, এমনকি নির্বাচনের পরেও না। নীতি নির্ধারকদের প্রধান কাজ হওয়া উচিত বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা।

[৯] সিপিডি বলেছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিম্ন-আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা খেয়ে ফেলছে। বাজার কারসাজি এবং সিন্ডিকেট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। অর্থনীতি এখন বহুবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে এবং সত্যিকার অর্থে একটি সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। একমাত্র আশা, নীতি নির্ধারকরা এটি বুঝবেন এবং স্বীকার করবেন যে, গতানুগতিক পন্থায় কাজ হবে না। কেবল নিঃস্বার্থ শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতৃত্ব সংস্কারের কঠিন পথে যেতে পারে এবং অর্থনীতিকে উদ্ধার করতে পারে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী